লৌহজং প্রতিবেদক: বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর-উত্তম বলেছেন, নারীর ওড়না বা শাড়ীর আচলে স্পর্শ করা আমার কাছে হত্যার চেয়ে বড় অপরাধ। এটা আমার কথা, আবেগের কথা। অন্যেরা কিভাবে সেটি আমি জানিনা।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, মা-বোনের সম্মানের জন্য আমি রক্ত দিয়েছি। আজকে আমার বোন বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশের প্রধানমন্ত্রী। মেয়েরা লাঞ্ছিত হয়, তার বিচার হয়না।
কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, মহিলাকে অত্যাচারে জড়িত মুক্তা নামের এক ইউপি চেয়ারম্যানের পক্ষে ও বিষয়টি মিটমাট করতে যত আওয়ামী লীগের লোক আমার কাছে এসেছেন। গত ১৫-২০ বছরেও এত লোক আমার কাছে আসে নাই, ফোন করে নাই। চেয়ারম্যান হলেই কারো বুকে লাথি মারতে পারো, মেয়ের গায়ে হাত দিতে পারো সেটি মেনে নেয়া যায়না।
শুক্রবার ৮ মার্চ বেলা ৩টায় টাঙ্গাইল সদর উপজেলার তারুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে আয়োজিত বই উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
টাঙ্গাইল এডভোকেট বার সমিতির সভাপতি এডভোকেট এ.কে.এম শামিমুল আকতার শামিম এর সভাপতিত্বে বই উৎসব অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী,
ছায়ানীড়ের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান ও করটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. খালেকুজ্জামান চৌধুরী মজনু । বই উৎসবে জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত কবিসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (২ মার্চ) বিকালে উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তা একজন নারীকে মারধর করেন। ওই মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওই রাতেই নির্যাতিত নারী বাদী হয়ে সখিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। ঘটনার পর থেকে নির্যাতিতা নারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।