লৌহজং প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলে বন্যায় ৭২ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে ছাত্র-ছাত্রীসহ অভিবাবকরা চরম হতাশায় রয়েছে। বন্যার পানি সরে গেলে দ্রুতই শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
টাঙ্গাইল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা যায়, জেলায় ১২ টি উপজেলার মধ্যে ৬টি উপজেলায় বন্যা কবলিত। এর মধ্যে ৩টি উপজেলায় ৭২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণি কক্ষে ও প্রতিষ্ঠানের অঙিনায় পানি থাকায় পাঠদানের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
জেলায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মধ্যে রয়েছে সদর উপজেলায় ২৬টি, ভূঞাপুর উপজেলায় ১৪টি। এছাড়াও সদর উপজেলায় মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১১টি, বাসাইল উপজেলায় ৪টি, ভুঞাপুর উপজেলায় ৮টি ও কালিহাতী উপজেলায় ৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
ভূঞাপুর উপজেলার চরভদ্রশিমুল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেনীর সাথী বিথী বলেন, আমাদের স্কুলে রুমের ভিতর পানি উঠেছে। তাই স্যার আমাদের স্কুলে যাইতে বারন করেছে। স্যার বলেছে রুমের পানি শুকাইলে যাইতে বলেছে। বিথীর বাবা শেখ কামাল বলেন, ছোট ছোট ছেলে মেয়ে পানির মধ্য না যাওয়াই ভাল।
ভূঞাপুর উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ আলম আকন্দ শাফলা বলেন, ভুঞাপুরের একটি অংশ যমুনা ঘেষা গাবসারা ইউনিয়ন। এটি প্রায় পুরো অংশই পানিতে। এর মধ্যে এই ইউনিয়নে সরকারী বেসরকারী এবং কি ব্যাক্তিগত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানিতে। তাই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও নাই পাঠদান।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার বণিক বলেন, প্রাথমিক কার্যক্রম চললেও, শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এ এম জহিরুল হায়াত জানান, বন্যা পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলেই পাঠদান শুরু হবে।