লৌহজং প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের গোপালপুরে পুকুরের মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে সেনা সদস্যের বসতবাড়িতে হামলা ও চাঁদা দাবির ঘটনা ঘটেছে। দুস্কৃতিকারীরা সেনা সদস্যের বসতবাড়ীতে হামলা ও সেনা সদস্যকে বাঁশের লাঠি দিয়ে আঘাত করে আহত করে। এঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দুই দফায় জেলার গোপালপুর উপজেলার ঝাওয়াল ইউনিয়নের রাজ গোলাবাড়ি গ্রামে এঘটনা ঘটে। এঘনটনায় থানায় একটি অভিযোগও দেয়া হয়েছে। আহত ব্যক্তিরা হলেন সুমি খাতুন, নাজিম উদ্দিন, সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট আতিকুর রহমান আতিক।
জানা যায়, মৃত শুকুর মাহমুদের দুই ছেলে সরকারিভাবে বন্দোবস্ত জমি নেন। ১৯৭৫-৭৬ সালে ৪৩ শতাংশ জমি নেন মৃত মজিবর রহমান তালুুকদার ও ১৯৭৭-৭৮ সালে ৪১ শতাংশ জমি সরকারিভাবে বন্দোবস্ত নেয় আবুল হোসেন তালুকদার। ২০০৭ সাল পর্যন্ত হালনাগাদ খারিজ আছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ১৭ তারিখ থেকে ১ বছরের জন্য সরকারিভাবে কোন লীজ যাতে না দিতে পারে এরকম একটি রায় দেয় হাইকোর্ট।
এরপর থেকল ওই পুকুর দখল করার চেষ্টা করে আপন ও এরশাদরা। শুক্রবার সকালে আবুল হোসেন তালুকদার ওই পুকুরে মাছ ধরতে গেলে তাকে বাঁধা প্রদান করে ও ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আপন ও এরশাদরা ওইদিন সকালে জোরপূর্বকভাবে মাছ ধরে হেমনগর আড়তে নিয়ে যায় বিক্রি করার জন্য। পরে পুলিশে খবর দিলে তারা উদ্ধার করে আবুল হোসেন তালুকদারদের কাছে ফেরত দেয়।
আহত সুমি খাতুন বলেন, আমাদের পেঁপে গাছ থেকে পেঁপে পেরে নিয়ে যাওয়ার সময় আপন আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে এক পর্যায়ে আমার হাত থেকে পেঁপে কেড়ে নিয়ে ফেলে দেয়। পরে আমাকে বাঁশ দিয়ে মারধর করে। আমাদের নানাভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হোক।
আহত নাজিম উদ্দিন বলেন, আমরা পুকুরে মাছ ধরতে গেলে আপন ও এরশাদরা মাছ ধরতে বাঁধা দেয়। তারা আমাদের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে তারা মাছ ধরতে দিবে না। এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটি হয়। আপন ও এরশাদরা আমাদের বাড়িতে হামলা করে ও আমাদের লাঠিসোটা দিয়ে মারধর করে। এসময় আমিসহ তিনজন আহত হয়।
সাবেক সেনাকর্মকর্তা মো.নজরুল ইসলাম বলেন , আমার চাচা আবুল হোসেন পুকুরে মাছ ধরতে গেলে দৃষ্কৃতিকারীরা বাধা প্রদান করেন এবং চাদাঁ দাবি করেন। দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শিপন, সজীব, সবুজ, শিল্পী, বেলাল, আপন, সুরুজ, রহিম বাদশাহ ও জীবন বাড়ীতে ভাংচুর করে । আমার ছোট ভাই আতিকুর রহমান ছুটিতে বাসায় থাকায় বাধা দিতে গেলে বাশঁদিয়ে এলোপাতাড়ী ভাবে তাকেও মারধর করে। মো.সুরুজ মিয়া বলেন, আমি বাড়ীতে ছিলাম না তাদের বাড়ীতে হামলা হয়েছে আমি শুনেছি।
গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাপ মুক্তার আশরাফ উদ্দিন বলেন, হেমনগর ফাঁড়ির এসআই লুৎফরকে তদন্তের দায়ভার দেয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।