লৌহজং প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার নাইকানীবাড়ী আলহাজ্ব হায়দার-হামিদ মডেল স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা এবং নবীণবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দিনব্যাপী বিদ্যালয় মাঠে উৎসবমুখর ও আনন্দঘন পরিবেশে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিদ্যালয়ের সভাপতি মোছা. আকলিমা বেগম।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রজেক্ট ম্যানেজার ডা. সিলভিয়া বিনতে করিম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক উপ-সচিব আলহাজ্ব এসএম এ করিম বিন হায়দার।বরেণ্য অতিথি হিসেবে আলোহা ভ্যানচার্স লিমিটেডের সিইও ইঞ্জিনিয়ার মো. নূর ই আলম।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স লিমিটেডের এয়ার লাইন পাইলট মো. ইমরান হোসাইন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন সরকারি সা’দত কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মোশারফ হোসেন। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মতিয়ার রহমান খান। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাসাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহেল।
প্রধান পৃষ্ঠপোষকতায় ছিলেন নোকিয়া কোং ফিনল্যান্ডের সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার আজিজুল হাসান। এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ মিয়া, সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম মিঞা, সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী মিয়া, মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হায়দার আলী খান, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান, বিদ্যালয়ের আজীবন দাতা সদস্য আলহাজ্ব মশিউর রহমান কালন, তানজিনা বিনতে করিম, তাসিময়া বিনতে করিম প্রমুখ। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে ছিলেন অনুষ্ঠানের আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকালিন সাবেক প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম সংগ্রাম।
অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনমুগ্ধকর ডিসপ্লে প্রদর্শন করা হয়। বিভিন্ন ইভেন্টে অনুষ্ঠিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পাশাপাশি ছিল শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে দেশাত্মবোধক গান, ইসলামি সংগীত, নৃত্যসহ বেশ কয়েকটি ইভেন্ট।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. সিলভিয়া বিনতে করিম বিদ্যালয়ের জমিদাতাসহ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকরণে সকল সহযোগীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ছাত্র জীবনটি অত্যান্ত মূল্যবান এই সময়টিকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারলে পরবর্তী জীবনটিকে অনেক উপভোগ করা যায়। আজকের ছাত্ররাই আগামীতে দেশের নেতৃত্বে আসবে অতএব তাদের সেইভাবেই প্রস্তুত করতে হবে। শিক্ষক এবং মা-বাবাকে সব সময় শ্রদ্ধার চোখে দেখতে হবে, তাদের সম্মানহানী হয় এরূপ আচরণ কখনো যেন আমরা না করি। পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধূলাসহ সকল সহপাঠক্রম বিষয়ে অংশ গ্রহণ করে নিজেকে আগামীর জন্য তৈরি করতে হবে।
আলোচনা সভার পর নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয় এবং বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ গ্রহণকারী বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বিভিন্ন ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যবৃন্দ, বিদ্যালয়ের কার্যনির্বাহী পরিষদ, শিক্ষক, অভিভাবক ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।
