লৌহজং প্রতিবেদক নাগরপুর: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, টিসিবির কার্ড ধারীদের দূর্ভোগ ও ভোগান্তি লাঘবে ভবিষ্যতে স্থায়ী দোকানে টিসিবির পণ্য সরবরাহ করার চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে। একজন দিনমুজুর তার টিসিবির পণ্য নিতে এসে তার সারা দিনের শ্রমঘন্টা ব্যয় করে। এতে তার ৭ থেকে ৮শত টাকা আয় থেকে বঞ্চিত হয়। এজন্য নাগরপুর কে মডেল হিসেবে নিয়ে স্থায়ী দোকানে পণ্য সরবরাহের পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারা দেশের ১ কোটি পরিবারের মধ্যে প্রতি মাসে টিসিবির মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে নাগরপুরে রয়েছে ১৬ হাজার ৪২৯টি পরিবার। ২২ মার্চ শুক্রবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে টিসিবির স্মাট কার্ড ও হুইল চেয়ার বিতরণ, ডিলার, বাজার সমিতি ও অংশীজনের সাথে মত বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বানিজ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, টিসিবি অনেক বড় একটি কর্মযজ্ঞ। এদেশের মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চাহিদা পুরনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে এজন্য ১৯৭২ সালে জাতির জনক বঙ্গবুন্ধ শেখ মুজিবুর রহমান টিসিবি প্রতিষ্ঠা করে ছিলেন।
বিশেষ করে আমাদের দেশে যে পণ্যগুলো উৎপাদন হয় না বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। পন্য আমদানি-রপ্তানি করার জন্য টিসিবি সৃষ্টি করা হয়েছিল।
নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রেজা মো. গোলাম মাসুম প্রধানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত মত বিনিময় সভায় অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এইচ এম জসিম উদ্দিন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সামিনা বেগম শিপ্রা, পাকুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক, গয়হাটার ইউপি চেয়ারম্যান শেখ শামসুল হক ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. এমরান হোসাইন শাকিল প্রমুখ।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী কলিয়া-সরিষাজানি রাস্তার উদ্বোধন করেন। মত বিনিময় সভা শেষে দুপুরে তেবাড়িয়া –পাইকশা বাজার এবং তেবাড়িয় মহারাজের দোকান হতে নদীর ঘাট পর্যন্ত রাস্তার ভিত্তি প্রস্তুর স্থাপন করেন। পরে দুর্বৃত্তদের হাতে নিঃশংস হত্যা কান্ডের শিকার উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিহাদ খান ঝলকের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের শান্তনা দেন।