লৌহজং প্রতিবেদক: ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে কষ্ট পোহাচ্ছে টাঙ্গাইলবাসী। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো)-১ এর আওতাধীন টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া, মাদারজানি, ক্ষুদিরামপুর,বীরপুশিয়া, বিসিক শিল্প নগরী তারটিয়া ও টাঙ্গাইল শহরে দিনদিন লোডশেডিং বেড়েই চলেছে। এতে বিপর্যয়ে পড়েছে জনজীবন।
দিনে সকাল ৮ টার দিকে বিদ্যুৎ চলে যায় আসে বিকেল ৫টায়। বিউবো-১ এর আওতায় বর্তমান চাহিদা ২৪ মেগাওয়াট কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে ১২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ-১ থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। শুধু দিনে নয় রাতে কয়েকবার বিদ্যুৎ চলে যায়। এমন অভিযোগ বিদ্যুৎ গ্রাহকদের।
এদিকে তীব্র গরমে বিদ্যুৎ না থাকায় ক্ষুদ্ধ হয়ে পড়েছেন গ্রাহকরা। এছাড়াও প্রচন্ড গরমে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বৃদ্ধ ও শিশুরা। গরমে ঘেমে জ্বর-কাশিসহ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে অনেকেই।
বিসিক শিল্প নগরী তারোটিয়া এলাকার বাসিন্দা মো. ময়নাল হক জানান, আগস্ট মাসে লোডশেডিং হতো কিন্তু গত কয়েকদিন যাবত বেশি লোডশেডিং দেখা দিয়েছে। দিনের বেলায় বিদ্যুৎ তো থাকেই না রাতের বেলায়ও ৩-৪ বার লোডশেডিং হয়। এ গরমে কিভাবে মানুষ বাঁচবে। তিনি আরও জানান, দিনের বেলায় বিদ্যুৎ না থাকলেও এদিক সেদিক গাছতলায় বসে দিন পার করা যায়। রাতে যখন বিদ্যুত থাকেনা তখন খুব খারাপ লাগে। গত কয়েকদিন যাবত আমার ছোট ছেলে মেয়েরা রাতে ঘুমাতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
টাঙ্গাইল বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো)-১ এর প্রকৌশলী খন্দকার কামরুজ্জামান বলেন, বিক্রয় কেন্দ্র-১ আওতায় ৪৮ হাজার ৫’শ গ্রাহক রয়েছে। চাহিদা রয়েছে ২৪ মেগাওয়াট অথচ ১০-১২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দেয়া হয়।