লৌহজং প্রতিবেদক: টাঙ্গাইল পৌর এলাকায় ১৪ বছরের বাক প্রতিবন্ধী কিশোরী ধ‘র্ষ‘ণের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। সম্প্রতি ওই প্রতিবন্ধীর শারিরিক গঠন পরিবর্তন হওয়ায় বিষয়টি এলাকায় চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি করে। শুক্রবার শহরের মমতাজ ক্লিনিকে আলট্রা করার পর নিশ্চিত হয় প্রতিবন্ধী কিশোরীর পরিবার। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, টাঙ্গাইল পৌরসভার ১০ ওয়ার্ডের কাজিপুরের বিসমিল্লাহ টেক্সটাইল মিলে কাজ করতো ওই প্রতিবন্ধী কিশোরী। একই টেক্সটাইলে কর্মরত ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলার শাহাজাতপুর উপজেলার বনগ্রাম গ্রামের হাছেন আলীর ছেলে ইউসুফ।
সেই সুবাদে বাক প্রতিবন্ধী ওই কিশোরীকে টেক্সটাইলের পাশে লেবু বাগানে একাধিকবার ধ‘র্ষ‘ণের ফলে কয়েক মাস পর কিশোরীর শারিরিক অবস্থার পরিবর্তন দেখা দেয়। সন্দেহ হলে কিশোরীর মা শহরের মততাজ ক্লিনিকে আল্ট্রা করা হয়।
পরে জানাযায় তার মেয়ে ৮ মাসের অন্তস্বত্তা। বিষয়টি তাৎক্ষনিক টেক্সটাইল মিলের স্বত্তাধিকারি মহসীনকে জানালে তিনি মীমাংসার কথা বলে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে ও ধ‘র্ষ‘ক ইউসুফকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন।
ধ‘র্ষ‘ণের শিকার ওই প্রতিবন্ধীর মা জানান, তিনি তার স্বামীকে নিয়ে ঢাকায় থাকেন। প্রতিবন্ধী মেয়ে তার মায়ের সাথে থাকে।খবর পেয়ে ঢাকা থেকে এসে বিষয়টি টেক্সটাইল মিলের মালিক মহসীনকে জানালে তিনি সমাধানের আশ্বাস দেন। সমাধান না হলে আদালতে মামলা করবে বলেও তিনি জানান।
ঘটনার বিষয়ে মিলের মালিক মহসীনের কাছে জানতে চাইলে প্রথমে তিনি ওই ইউসুফের নাম ঠিকানা বলতে অস্বীকার করেন। ভোটার আইডি বিহীন লোককে কিভাবে চাকরি দিলেন বললে অবশেষে তিনি নাম ঠিকানা বলেন।
ন্যাক্কারজনক ঘটনার বিষয়ে ১০ নং কাজিপুর ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বাদশা জানান, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। এ ব্যাপারে কোন পক্ষ তাকে কিছু জানায়নি বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. লোকমান হোসেন জানান, বিষয়টি তিনি অবগত নন। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।